নাসিরনগরে মাদকের টাকা নিয়ে দন্দ্ব
২ দল গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা- লুটপাট
- আপডেট সময় : ০২:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের পল্লীতে ২ মাদক কারবারীর ধারদেনা নিয়ে সৃষ্ট ২ দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নারী-পুরুষ,শিশু সহ কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়েছে ,হামলা হয়েছে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে, অভিয়োগ উঠেছে লুটপাটের। এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা।
ঘটনাটি ঘঠেছে গত ২০ ফেব্রুয়ারী(বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টায় উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের কামাল দিঘির পাড়ে । জানা যায়, ফান্দাউক গ্রামের জনৈক শাহজাহান মিয়ার ছেলে রুবেল শাহ ও একই গ্রামের আজদন মিয়ার ছেলে শাফায়েত মিয়া ২জনেই জড়িত অবৈধ মাদক কারবারে । কিছুদিন আগে শাফায়াত রুবেলের কাছ থেকে কিছু ইয়াবা কিনেন বাকীতে,উক্ত পাওনা টাকা নিয়ে কয়েকদিন আগে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়ছে। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে মাদক কারবারি রুবেল শাহ ও শাফায়েতের আত্বীয় পারভেজ মিয়ার মধ্যে মাদকের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এরই ধারবিাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পুনরায় দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ । জড়িয়ে পড়ে শতশত নারী পুরুষ ।সব মিলিয়ে আহত উভয় পক্ষের কমপক্ষে৭০ জন। প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। আহতের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষের পর থেকে দুই পক্ষ মুখমুখি অবস্থানে রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত রুবেলের সাথে কথা হলে তিনি মাদকের টাকা নিয়ে দন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বড় ভাই নাইম শাহ পাশের বাড়ির শাফায়েত ও পারভেজের কাছে ৭০ হাজার টাকা পায়। সে টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাদের উপর হামলা করে শাফায়েতের লোকজন। দুইদফা হামলায় আমাদের প্রায় ৭০-৮০ জন আহত পরে।
আহতরা হলো-বক্কর শাহা, ফকরুল শাহা, সাফিউল শাহ, সালাউদ্দিন শাহ, আলামিন শাহা, সালমান শাহ, ইয়ামিন শাহ, ইমন শাহ, জাকির শাহ, মেরাজ শাহ, মবিন শাহ, হৃদয় শাহ, লালন শাহ, মহিন শাহ, রায়হান শাহ, নিজাম শাহ, মুন্না শাহ, মুক্তাদির শাহ, মুন্নী শাহ, সজল শাহ, ফয়সাল শাহ, শিফন শাহ, শামীম শাহ, বাদল শাহ, ইধন শাহ, নাজুল শাহ, আলম শাহ, শাকিল শাহ, ইমন শাহ, মাসুক মিয়া, কামরুল মিয়া, নিজাম মিয়া, জুবায়ের মিয়া, শাহনাজ মিয়া, আবদুল্লাহ মিয়া, বক্কর মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, তানভির ফয়সল মিয়া, লীমা বেগম, রাকিবা বেগম, নাসুমা, নাছিমা বেগম, ফারহানা বেগম, লীজা বেগম, কল্পনা বেগম, আকলিমা বেগম, তানজু বেগম, শেলিনা বেগম, খুদেজা বেগম, রাকিবা, সিমু বেগম, সুমাইয়া বেগম, জান্নাত বেগম, ইভা বেগম ও নুসরাত বেগম।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের পর দুই পক্ষের আহতরাই চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল রাত ১০টার পর থেকে প্রায় ১২টা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ মারামারির পর দুই পক্ষের লোকজন চিকিৎসা নিতে এসেছে।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম সাংবাদিকদের জানান, পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। মাদকের টাকা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা আছে ।
সংবাদটি শেয়ার করুন



















