ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লন্ডনে ‘রিবিল্ডিং বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আখাউড়ায় বিএনপির মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের বিএনপির প্রার্থী এডভোকেট মান্নানের মতবিনিময় নবীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ২ নিহত, ৪ গুলিবিদ্ধ — রিফাত বাহিনীর প্রধানসহ ২ জন অস্ত্রসহ গ্রেফতার নাসিরনগরে গোয়ালনগর ইউনিয়ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত বাসুদেব ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত আইনি জটিলতায় বিয়ে না করেই দেশে ফিরছেন চীনা প্রেমিক ওয়াং তাওজেন বিএনপিও গণভোট চায়, তবে সংসদ নির্বাচনের দিনেঃ মুশফিকুর রহমান নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্র হতে পারে, জনগণ তা হতে দেবে নাঃ-মুশফিকুর রহমান। সরাইলে দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

নবীনগরে শৈশবের বন্ধুকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার

আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৯৩ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে শৈশবের বন্ধু উমর হাসানকে (২৩) কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছেন খাইরুল আমিন নামে এক যুবক।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার পর নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের টিম মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক খাইরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত উমর হাসান মহেশপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার হওয়া খাইরুল আমিন একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার চান মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উমর ও খাইরুল ছোটবেলা থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তবে সম্প্রতি ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর জেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খাইরুল কৌশলে উমরের ঘরের ছিদ কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ধারালো দা দিয়ে উমরের ঘাড় ও হাতে উপর্যুপরি কোপ দেন। পরে তাঁকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালানোর চেষ্টা করেন।

এ সময় নিহতের মা রাহেলা বেগম শব্দ শুনে ছেলের ঘরে গেলে খাইরুল তাঁকেও কোপ মেরে আহত করে পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করেন। ওসি শাহিনুর ইসলাম বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খাইরুল প্রথমে উমরকে কুপিয়ে এবং পরে জবাই করে হত্যা করে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযান শুরু করি এবং মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে।”

নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

নবীনগরে শৈশবের বন্ধুকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে শৈশবের বন্ধু উমর হাসানকে (২৩) কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছেন খাইরুল আমিন নামে এক যুবক।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার পর নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের টিম মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক খাইরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত উমর হাসান মহেশপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার হওয়া খাইরুল আমিন একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার চান মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উমর ও খাইরুল ছোটবেলা থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তবে সম্প্রতি ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর জেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খাইরুল কৌশলে উমরের ঘরের ছিদ কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ধারালো দা দিয়ে উমরের ঘাড় ও হাতে উপর্যুপরি কোপ দেন। পরে তাঁকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালানোর চেষ্টা করেন।

এ সময় নিহতের মা রাহেলা বেগম শব্দ শুনে ছেলের ঘরে গেলে খাইরুল তাঁকেও কোপ মেরে আহত করে পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করেন। ওসি শাহিনুর ইসলাম বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খাইরুল প্রথমে উমরকে কুপিয়ে এবং পরে জবাই করে হত্যা করে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযান শুরু করি এবং মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে।”

নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।